রবিবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ফ্যাশন
  12. বরিশাল
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. ময়মনসিংহ

ভোটের প্রচারনায় আহত হামিদুলের শিকলবন্দী জীবন!

প্রতিবেদক
Md Abu Rayhan
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও কথা রাখেনি কেউ !

ফজলে রাব্বি, নলডাঙ্গা (নাটোর) : ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নাটোরের নলডাঙ্গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউ.পি সদস্য প্রার্থীর নিবাচনী প্রচারনার অংশ নেন হামিদুল (১৯)  প্রতিমধ্যে ঘটে সড়ক দূঘটনা। মারাত্বক আহত হলেও কোন মতে প্রানে বেঁচে গেলেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শিকল বন্ধী জীবন যাপন করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পশ্চিম মাধনগরের বামনপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে হামিদুলকে একটি আম গাছের সাথে পায়ে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। শিকলের শেষ অংশে ঝুলছে তালা। পায়ের সঙ্গে লাগানো শিকলই যেনো হামিদুলের নিত্য দিনের সঙ্গী। শিকলের আঘাতে হামিদুলের পায়ে পড়েছে দাগ। ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক,হামিদুলকে শিকলবন্দী হয়ে গাছের নিচেই থাকতে হয়। চিৎকার করলেও দেখতে আসে না কেউ। পায়ে শিকল পরা অবস্থায়ই দিন শুরু হয় বিকেল গড়িয়ে অন্ধকার নামে এ অবস্থাতেই। কখনো দাঁড়িয়ে কখনো শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছে। আবার কখনো গান হাসি কান্নার মধ্য দিয়েই কাটছে তার জীবন। সন্তানের এ অবস্থা দেখে চিন্তায় সারাক্ষণ কাঁদেন তার পিতা মাতা ও স্বজনেরা।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এক ইউ.পি সদস্য পদপ্রার্থীর নিবাচনী প্রচারনার অংশ নেয় হামিদুল। সড়ক দূঘটনায় মারাত্বক আহত হলে প্রানে বেঁচে গেলেও এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শিকল বন্ধী অবস্থায় জীবন যাপন করছে।  অনেকেই সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও কেউ কথা রাখেনি! অভাবের সংসারে চিকিৎসা খরচ জোগানো অসম্ভব। এ কারনে পায়ে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। মুক্ত থাকলে কখন কী দুর্ঘটনা ঘটায় এমন আশঙ্কায় বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানান হামিদুলের মা-হাজরা বেগম ও পিতা জহরুল ইসলাম।

প্রতিবেশিরা জানান, হামিদুলের উন্নত চিকিৎসা তারা করবে কীভাবে? তাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য হামিদুলের পরিবারের নেই। তার চিকিৎসায় বিত্তবান ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান পরিবারসহ এলাকাবাসী।

হামিদুলের মা হাজরা বেগম ও পিতা জহরুল ইসলাম বলেন, রাতে ছেলের পায়ে শিকল দিয়ে ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা করি। দীর্ঘ সময় ধরে পায়ে বেঁধে রেখেছি আমার সন্তানকে। শিকল দিয়ে বেঁধে রাখায় পায়ে ক্ষত হয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য মা-বাবা হয়ে সহ্য করতে পারছি না। আমরা নিজেও সারা রাত ঘুমাতে পারি না। কারণ কখন সে কি করে বসে এই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় আমাদের।

নলডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা সুমন সরকার জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - নিজস্ব প্রতিবেদক