মোঃ শাহাদাত হোসাইন, শরণখোলা, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণের জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শরণখোলার বাওয়ালীরা। গোলপাতা আহরণের পূর্বপ্রস্তুতি হিসিবে মোরামত করে নৌকা নামিয়ে ঘাটে রাখেন শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের মোঃ নুরুল হক ব্যাপারির ছেলে মোঃ সেলিম ব্যাপারি। বাওয়াল নৌকাটি নদীর তীরে কুলঘেষা থাকায় সারারাত জলতে থাকার পরে সকালে এলাকাবাসীর নজরে আসে। জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে।
তবে, স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ অন্ধকার নামলেই রায়েন্দা শহররক্ষা বাঁধে শুরু হয় মাদকসেবীদের আড্ডা। পুলিশ ও জনগণের আড়ালে খোঁজে পরিত্যক্ত নৌকা বা ট্রলার। তাদের ধারনা সেলিম ব্যাপারির নৌকা মাদকসেবীদের আগুনেই পুড়েছে।
সেলিম ব্যাপারি বলেন, আমি ১২ বছর ধরে সুন্দরবনে গোলপাতার ব্যবসা করি। ৫ লাখ টাকা খরচ করে এই বাওয়ালী নৌকাটি তৈরি করেছি। নতুন সিজনে গোলপাতা সংগ্রহে যাওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা খরচ করে নৌকা মেরামত করে নামিয়েছি ৩০ জানুয়ারী সুন্দরবনে যাবো বলে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে কে বা কাহারা আমার নৌকায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। নৌকাটিতে কারা আগুন লাগিয়েছে তা আমি জানি না। এখন আমার সুন্দরবনে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নতুন করে মেরামত করে নৌকা রেডি করতে করতে গোলপাতা সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দা শাহারু পহলান বলেন, আমি ফজরের আজানের সময় মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাঁধের উপরে দাঁড়াই। এসময় দেখি নৌকাটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তখন আশপাশের লোকজন নিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেই।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান খাঁন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
