বৃহস্পতিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ফ্যাশন
  12. বরিশাল
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. ময়মনসিংহ

হালতি বিলের পানি প্রবাহে বাধা, বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক!

প্রতিবেদক
আপডেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক;
ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ১১:১২ অপরাহ্ণ

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধিঃ পানি নিষ্কাশনের পথে আড়াআড়িভাবে বাঁশ ও তালাইয়ের বেড়ার বাঁধ দিয়ে সুঁতিজাল ফেলে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে মাছ করার ফলে বাঁধার মুখে পড়ছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের পানি প্রবাহ। ফলে মৌসুমের শুরুতে সময়মত প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য ও বোরো ধান চাষ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন হাজারো কৃষক। স্থানীয়রা জানান, এসব সুঁতিজাল স্থানীয় মৎস্য বিভাগ মাঝে মাধ্যে অভিযান চালিয়ে অপসারণ করলেও, মৎস্য কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর আবার বাঁশের বাঁধ দিয়ে সুতিঁজাল পেতে মাছ শিকার শুরু করে।

হালতি বিলের পার্শবতী উপজেলা সিংড়ার ত্রিমোহনীর সোনাইডাঙ্গা খালে এ ধরনের অন্তত ৬টি সুঁতিজাল বসানো হয়েছে। এসব সুঁতিজাল স্থানীয় মৎস্য বিভাগ মাঝে মাধ্যে অভিযান চালিয়ে অপসারণ করলেও এসব অবৈধ পন্ত্রায় মাছ শিকার বন্ধ না হওয়ায় বন্যার পানি দ্রুত নামছে না। বাঁশের বেড়ার বাঁধ দিয়ে বসানো এসব সুঁতিজাল স্থায়ীভাবে অপসারন ও সুইচগেটের সবগুলো মুখ খুলে দেওয়ার দাবী কৃষকদের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হালতি বিলের চারদিকে থৈ থৈ করছে বন্যার পানি এখনও চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। প্রতিবছর এই সময় বিলের পানি নেমে যায়। কিন্ত এবার রবিশস্য ও বোরো ধানের মৌসুম শুরু হলেও জমিগুলো থেকে বন্যার পানি না নামায় বোরো বীজতলা, সরিষা,পেঁয়াজসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। কৃষকদের অভিযোগ,হালতি বিলের পার্শবর্তী উপজেলা সিংড়া এলাকার ত্রিরমোহনীর সোনাইডাঙ্গা খালে অন্তত ৬টি স্থানে বাঁশের বেড়ার বাঁধ দিয়ে সুঁতিজাল বসিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এসব সুঁতিজাল বসানোর কারনে চরম বাঁধার মুখে পড়েছে হালতি বিলের পানি প্রবাহ। এতে পানি নামার গতিপথ বন্ধ হয়ে বিলের পানি নামছে ধীরগতিতে। এইভাবে পানি নামলে আগামী ৩ মাসে বিলের পানি নামবে না বলে দুচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

এবার এখনও বিলের পানি নেমে না যাওয়ায় সরিষা,পেঁয়াজ,ভুট্রাসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষ করা শুরু করা সম্ভব হয়নি। হালতি বিলের বিভিন্ন স্থানসহ সিংড়ার ত্রিমোহনী খালে সুতিঁজাল বসিয়ে মাছ শিকার করায় বিলের পানি নামতে বিলম্বো হচ্ছে। এ কারনে হালতি বিলের একমাত্র ফসল বোরো ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তত করার কাজ শুরু করতে পারেনি কৃষকরা।

সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন,আমরা অবৈধ বাঁশের বেড়ার সুঁতিজাল গুলো ৬ বার উচ্ছেদ করা হয়।পরে আবার সুঁতিজাল বসিয়ে মাছ শিকার করছে প্রভাবশালীরা। গত বৃস্পতিবার সিংড়ার হাঁফানিয়া সোনাইডাঙ্গা খালে বসানো সুঁতিজাল কেটে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।।

নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকতা সঞ্চয় কুমার সরকার বলেন, মৎস্য আইন বাস্তবায়নে অবৈধ জাল উচ্ছেদ সহ বিভিন্নভাবে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে অবৈধ জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,এ পরিস্থিতি উত্তরণে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে অবৈধ সুঁতিজাল অপসারণ করার কাজ শুরু করেছে।গত বৃস্পতিবার একটি সুঁতিজাল কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। অচিরেই এ সংকটের সমাধান মিলবে।

সর্বশেষ - নিজস্ব প্রতিবেদক