বৃহস্পতিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ফ্যাশন
  12. বরিশাল
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. ময়মনসিংহ

নাটোরে খেঁজুর রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরীতে ব্যস্ত গাছিরা

প্রতিবেদক
আপডেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক;
ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ১১:০২ অপরাহ্ণ

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধিঃ শীতের আগমনের সাথে খেজুরের রসের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। দুপুরের পর থেকেই গাছিরা খেজুর গাছ চেঁছে ঝুলিয়ে দেন শূন্য মাটির হাঁড়ি। সারারাত ফোঁটায় ফোঁটায় ভরে উঠে সেই হাড়ি। পরদিন ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই গাছিরা সংগ্রহ করেন প্রকৃতির এই অন্যন্য উপাদান। পরে রস ভর্তি পাত্র নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। শীতের সকালের মিষ্টি খেজুর রস সংগ্রহের সেই ঐতিহ্যবাহী দৃশ্যের দেখা মিলছে নাটোরে। দুপুরের পর গাছ চেঁছে মাটির শুন্য হাড়ি ঝুলিয়ে পরদিন ভোর পর্যন্ত অপেক্ষার পর খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। এ অঞ্চলের খেজুরের রস থেকে তৈরী গুড়ও বেশ প্রসিদ্ধ। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

যদিও আগের মত খেঁজুর গাছের সারি আর দেখা যায় না। যে গাছগুলো আছে শীতের শুরুতে গাছিরা সেই গাছ গুলো প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। হাতে দা ও কোমরে দড়ি বেধে খেঁজুর গাছে উঠে নিপুন হাতে গাছের ছাল তোলা, নলি বসানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন থেকে শুরু হবে রস সংগ্রহের প্রতিযোগীতা। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ এই তিন মাস খেঁজুর গাছ থেকে রস আহরন আর গুড় তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে হয় গাছিদের। আহরনকৃত রস নিজ বাড়িতে আগুনে জাল দিয়ে সে গুড় বা লালি তৈরী করে পরে তা বাজরে বিক্রয় করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন অনভিজ্ঞ গাছিরা গাছ কাটতে গিয়ে অনেক গাছ মরেও যাচ্ছে। তাই এখন আর আগের মত খেঁজুর গাছ দেখা যায় না। ফলে এক সময় খেঁজুর রসের যে সমারহ ছিল তা অধিকাংশ কমে গেছে। শীতের সকালে ছোট, বড় সকলেই রসের জন্য ভিড় জমাতো।

সংগ্রহ করা রস চুলার গনগনে আগুনে ফুটিয়ে টানা কয়েক ঘন্টার পরিশ্রমে তৈরী করা হয় গুড়। এছাড়াও খেজুর রসের ক্ষীর, পায়েস, পিঠা-পুলিসহ নানান ধরণের খাবারে আত্মীয়-স্বজনকে আপ্যায়ন করা গ্রাম বাংলার চিরাচরিত রেওয়াজ। এখানের খেজুর রস থেকে তৈরী ভেজালমুক্ত গুড় মানসম্মত ও সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে। তবে খেজুর গুড়ে ভেজালের অভিযোগ পুরনো। তাই গুণগত মান ঠিক রাখতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার দাবী গাছিদের।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান,উত্তরের জেলা নাটোরে প্রায় ৩শ হেক্টর জমিতে আছে ৬ লক্ষাধিক খেজুর গাছ। শীত মৌসুমে ৭৫ দিনে এসব গাছ থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ১০হাজার মেট্রিক টনের বেশী খেজুর গুড়। যার বাজার মুল্য প্রায় শত কোটি টাকা।

নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন,নাটোরের খেজুর রস থেকে তৈরী গুড়ের ঐহিত্য রক্ষায় নজরদারী ও তৎপরতা অব্যাহত আছে। গুনে মানে অনন্য হওয়ায় এখানে উৎপাদিত খেজুর গুড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ - নিজস্ব প্রতিবেদক