বৃহস্পতিবার , ৩১ আগস্ট ২০২৩ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ফ্যাশন
  12. বরিশাল
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. ময়মনসিংহ

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন

প্রতিবেদক
আপডেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক;
আগস্ট ৩১, ২০২৩ ১২:৪২ অপরাহ্ণ

ফরিদুল ইসলাম, শরণখোলা (বাগেরহাট) : প্রজনন সহ সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সকল নদ-নদী ও খালে সব ধরনের মাছ আহরন, বিপনন ও ব ধরণের মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবন। র্যটক ও জেলেদের জন্য খুলছে সুন্দরবনের দ্বার।

পাশাপাশি বনের উপর নির্ভরশীল জেলেরা যাবেন তাদের জীবিকার অন্বেষনে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য ট্যুর অপারেটরগুলো তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পদ্মা সেতু চালু ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হওয়ায় সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঢল নামবে বলে বন বিভাগ ও ট্যুর অপারেটরদের প্রত্যাশা। ইতিমধ্যে জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোট চালকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুন্দরবনের প্রবেশের জন্য।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, প্রজনন মৌসুমে ৩ মাস সুন্দরবনে মানুষের প্রবেশ বন্ধ থাকায় বন্যপ্রাণীরা নির্বিঘ্নে প্রজনন করায় বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বনের নদী, খালে মাছের পরিমানও বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকালয়ের কাছাকাছি এবং বন বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের পাশে হরিণ, বানর, বন্য শুকুর, সাপ, অজগর সহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রায়ই দেখা মিলছে। এমনকি বনের বিভিন্ন এলাকায় ও বন বিভাগের অফিস সংলগ্ন এলাকায় বাঘের দেখাও মিলেছে।

বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের মোট আয়াতন ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪৩ বর্গকিলোমিটার এবং জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৩ বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবন জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ বিশ্বের মধ্যে সমৃদ্ধশালী একটি ইকোসিস্টেম। অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল সুন্দরবন। রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরও আবাসস্থল সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন।

১৯৯৬ সালে সুন্দরবনের এক লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৯ দশমিক ৪৯৬ হেক্টর এলাকা অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। তখন যা ছিল সুন্দরবনের মোট আয়াতনের শতকরা ২৩ ভাগ অভয়ারণ্য। এর ২১ বছর পর ২০১৭ সালে সরকার সুন্দরবনে অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন করে বনের আরও এক লাখ ৭৮ হাজার ২৫০ দশমিক ৫৮৪ হেক্টর এলাকা অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে সুন্দরবনের তিন লাখ ১৭ হাজার ৯৫০ দশমিক ০৮ হেক্টর এলাকা অভয়ারণ্য যা মোট আয়াতনের শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি।

সুন্দরবনের মৎস্য ব্যবসায়ী কবির হোসেন, ডালিম হাওলাদার, রুবেল খলিফা, তুহিন বয়াতী বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে ও মৎস্যজীবীরা তিনমাস মানবেতর জীবন-যাপন করেছে। তাই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সাথে সাথে বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে জীবিকার অন্বেষনে ছুটে যাবেন সুন্দরবনে। এখন তাদের শুধু অপেক্ষার পালা। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় আগের মত দুই মাস করার দাবী তাদের।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান বলেন, দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণ ও জেলেদের মৎস্য আহরণের অনুমতি (পাস) দেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সুন্দরবন ছিল কোলাহলমুক্ত। এতে বনের জীববৈচিত্র্যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমণ ও জেলেদের মৎস্য আহরণে যাতে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে বন বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট ভুমিকা পালণ করবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - নিজস্ব প্রতিবেদক