ফরিদুল ইসলাম : বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলায় ৩৫/১ পোল্ডারের মূল বেড়িবাঁধের পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নির্মানকৃত বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহার করায় বাঁধের অস্তিত্ব নিয়ে শংশয় প্রকাশ করেছেন বাঁধ পার্শবর্তী এলাকার বসবাসরত বাসিন্দারা। যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে মূল বেরিবাঁধ ভাঙ্গতে বেশী সময় লাগবেনা বলে এলাকাবাসীর ধারনা। যার ফলে বগী, গাবতলা এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলায় উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন (সিইআইপি-১) প্রকল্পের আওতায় ৬৪ কিলোমিটার বেরিবাধ নির্মাণ করে সিএইচডবিøউডি নামক চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে বেরিবাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও নদীশাসন ব্যবস্থা না থাকায় উপজেলার বগি গ্রাম থেকে উত্তর সাউথখালী পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার হুমকির মধ্যে রয়েছে। দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে মূল বেরিবাধের পূর্ব পাশে রিং বাঁধ নির্মাণ করা হলেও অব্যাহত ভাঙ্গনের মুখে তাও প্রায় বিলিন হওয়ার পথে। ১৮ অক্টোবর সকাল থেকে শুরু হয়ে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন দেড় কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক হাওলাদার, আসাদুল খান ও আলী হাওলাদার জানায়, মূল বেরিবাঁধ ভেঙ্গে গেলে তাদের বাড়ীঘর পানিতে তলিয়ে গেলে ক্ষেতের ফসল, হাঁস-মুরগি, পুকুর ও ঘেরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, নদী শাসন ব্যবস্থা না করে বেরিবাঁধ নির্মাণ করায় আজকে মূল বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে তিনি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামিম বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ###