মঙ্গলবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ফ্যাশন
  12. বরিশাল
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. ময়মনসিংহ

ভয়াল সিডরের ১৬ বছর, নদী শাসন ব্যবস্থা না থাকায় হুমকির মুখে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাধ

প্রতিবেদক
আপডেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক;
নভেম্বর ১৪, ২০২৩ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

মাসুম বিল্লাহ : ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর ক্ষতিগ্রস্থ শরণখোলাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ‍”ত্রাণ চাইনা বেড়িবাধ চাই” কিন্তু বেড়িবাধ নির্মাণ করা হলেও নদী শাসন ব্যবস্থা না করায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হসান্তরের আগেই সেই বাঁধ এখন হুমকির মুখে। এলাকাবাসির ধারণা যে কোনো মুহুর্তে এ বেড়িবাধ নদীগর্ভে বিলিন হতে পারে। ইতিমধ্যে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ণের মরণপূরী খ্যাত গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকার মূল বেড়িবাধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তাই ছিড়রের ১৬ বছর পরেও মানুষের মনে বেড়িবাধ স্বপ্নের মতো রয়ে গেছে।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের ভয়াল গ্রাসে ২০/২১ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদের তীরবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ৯০শতাংশ ভেঙ্গে যায় এবং সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি সহ কয়েক হাজার হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিহত হয়। মানুষের মধ্যে দেখা দেয়ে চরম দূর্ভোগ। এরপর বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও উন্নয়ণ সংস্থা এবং সরকার এই দূর্গত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু তাদের ত্রাণের প্রয়োজন থাকলেও এলাকাবাসীর সবচেয়ে বড় দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাধ।

২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেড়িবাঁধ নির্মানের অর্থ বরাদ্ধ দেয় বিশ্বব্যাংক। চায়না কোম্পানির সহযোগীতায় উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) আওতায় বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ৬ বছর সময় পার করে। তবে, এখন পর্যন্ত প্রকল্প কর্মকর্তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের কাছে বেড়িবাধটি হস্তান্তর করতে পারেনি। তবে শিগ্রই সিইআইপি কর্তৃপক্ষ পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের কাছে হস্তান্তর করতে পারে বলে জানা গেছে।

সিড়র দূর্গত সাউথখালী এলাকার বাসিন্দা আঃ খালেক হাওলাদার, মোশারেফ হাওলাদার, বাদল খান ও ইউপি সদস্য জাকির হ্ওালাদার অভিযোগ করে বলেন, নদী শাসনের ব্যবস্থা না রেখেই এই প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া এই বেড়িবাধে মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করায় বেড়িবাধ টেকশই হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। সম্প্রতি উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ৪০০ মিটার মূল বেড়িবাঁধের সিসি ব্লকে ধ্বস সহ প্রায় ১ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া বগি ও উত্তর সাউথখালী এলাকার বিভিন্ন যায়গায় ফাটল দেখা দেয়ায় মূল বেড়িবাধ হুমকির মধ্যে পড়েছে।

উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, টেকসই বেড়িবাধ নির্মানের নামে সেই সময় নয়-ছয় হয়েছে। মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করা ও নদী শাসন ব্যবস্থা না রাখায় আজ এ কাঙ্খিত বেড়িবাধটি হুমকির মুখে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, বেড়িবাধ নির্মানকালিন সময় নদী শাসন ব্যবস্থা না করায় বেড়িবাধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগে বালু ভরে ডাম্পিং চলছে কিন্তু তাও পর্যাপ্ত নয়। এ ব্যাপারে নদী শসন ব্যবস্থার প্রযোজনীয় অর্থ চেয়ে মন্ত্রনালয়ে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকল্প পাশ হতে দেরি হলে এই কাঙ্খিত বেড়িবাধটি অনিশ্চয়তার মুকে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সর্বশেষ - নিজস্ব প্রতিবেদক