বুধবার , ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ফ্যাশন
  12. বরিশাল
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. ময়মনসিংহ

বলসুন্দরী কুল চাষে বদলে গেছে ভাগ্য

প্রতিবেদক
আপডেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক;
জানুয়ারি ৩১, ২০২৪ ১২:৩২ অপরাহ্ণ

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : ফুল বাগানের অনুপ্রেরণা একজন দক্ষ ও সফল চাষী গড়ে তুলবে তা নিজেও কল্পনা করেনি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে
আবু বকর (৫১)। বিদেশে চাকুরীতে না গিয়েও দেশের মাটিতে সোনার ফসল ফলিয়ে ও বলসুন্দরী ‘কুল’ চাষে সাড়া ফেলে বছরে উপার্জন করছেন লাখ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে পিরোজপুর, বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষীরা কলম কিনে নিয়েছেন তার বাগান থেকে। বাগানটি পরিচর্যার জন্য প্রতিনিয়ত ৭শ’ টাকা মজুরিতে ৮ জন শ্রমিক কাজ করছে।
এছাড়া এ বাগানে অন্য প্রজাতের বাউকুল, কাশমেরী কুল চাষেও সফল হয়েছেন তিনি। চাষি আবু বকরের নেশা-পেশা শুধু ফলের বাগান করা। লিচু, আম, পেয়ারা বিভিন্ন প্রজাতের বরই বাগানসহ ১১টি ফলের বাগান রয়েছে তার। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তিনি কোনো সহায়তা পাননি কখনো।
উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের আলতী বুরুজবাড়িয়া গ্রামের মৃত. মোশারফ শেখের ছেলে মো. আবু বকর শেখ  ৬৬শতক জমিতে নতুন প্রজাতের ১৫০ টি বলসুন্দী কুল ফলে চাষ করে এখন গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সাড়া জাগিয়েছে। তিনি মোট  ৮ একর জমি (৩ একর জমি নিজের এবং বাকি ৫ একর জমি লিজ) নিয়ে গড়ে তুলেছে এ নার্সারি। বাগান দেখতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন জেলার চাষিরা। কিনে নিচ্ছে তারা বলসুন্দরী কলম চারা। বাম্পার ফলন পেয়ে এ চাষে উৎসাহিত হচ্ছে অন্যচাষীরাও।
চাষী আবু বকর শেখ বলেন,  শখের বসে করা ফুল বাগানের অনুপ্রেরণা  যে তাকে একজন দক্ষ ও সফল চাষী করে তুলবে তা আবু বকর নিজেও কল্পনা করেনি। তার বাগানের প্রতিটি কুল গাছ  থেকে এক মন করে কুল বরই ফল তুলছেন তিনি। ২ মাস বয়স থেকে ৫ মাসের মধ্যে ফলন আসে। ৩ মাস থাকে এ কুল উৎপাদন। এ বারে তিনি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার কুল বরই বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতারা চাহিদা অনুযায়ী ৮০ টাকা কেজি দরে কুল বরই কিনে নিচ্ছেন। পাশাপাশি এ প্রজাতের  কলম বিক্রি হচ্ছে।
পরিবারে বৃদ্ধ মাতা, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি এ বলসুন্দরী কুলের চাষ করে একজন সফল চাষী হিসেবে যুব সমাজকে এ নার্সারী চাষে এগিয়ে আশার আহবান জানান।
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান,নার্চারিতে সরকারি ভাবে সহায়তার বরাদ্দ না থাকায় তাকে কোন সহযোগিতা করতে পারছি না।তবে আমরা কয়েকবার তার নার্চারি পরিদর্শন করেছি।

সর্বশেষ - নিজস্ব প্রতিবেদক